সোশ্যাল ক্যাপিটালের বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

By Admin Published in আর্টিকেল August 18, 2022

সোশ্যাল ক্যাপিটালের বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে কোথায় স্পষ্ট করে বলা যায় যে সোশ্যাল ক্যাপিটালের ভালো দিক ও মন্দ দিক উভয়টি রয়েছে। এর মাধ্যমে একই সমাজে বসবাসকারী পরস্পর যেভাবে একে অন্যের থেকে উপকৃত হতে পারেন তেমনি ভাবে বিশাল একটি অংশ নানা ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন।

এবং এমনও হতে পারে যে সামাজিক নানা সমস্যা দূর করতে একই সমাজে বসবাসকারী পরস্পর একে অপরের পক্ষ থেকে নানা বিষয়ে সমাধান পেতে পারেন।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল ক্যাপিটাল ভিন্ন ভিন্ন ধারণা তৈরি করে। কোথাও নেতিবাচক এবং কোথাও ইতিবাচক।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল ক্যাপিটালের উপকারী দিকের চেয়ে বৈষম্য তৈরীর দিকটি বেশি স্পষ্ট হয়। একটি সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠী নাগরিক সুবিধা এবং সোশ্যাল ক্যাপিটালের মাধ্যমে ব্যাপক উপকৃত হন। সমাজে বিভিন্ন পেশা ও আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সামাজিক ঐক্যের অন্তর্গত মানুষজন পরস্পরের সহযোগিতা করছেন। কখনো কখনো এর কারণে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিষয়টি স্পষ্ট হয় মহামারী করোনা ভাইরাসের সময়। দেখা গেছে যখন সারাদেশে আই সি ইউ বেড বরাদ্দ পাওয়া খুবই কষ্টকর একটি বিষয় তখন প্রভাবশালী গোষ্ঠী এবং চিকিৎসা রিলেটেড ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে ও পরিচিতজনদের প্রয়োজনে এসব আই সি ইউ সজ্জায় সেবা নিয়েছেন। যার কারণে যাদের অধিক প্রয়োজন তাদের অনেকেও শয্যা না পেয়ে হাসপাতালে অথবা বাসায় মৃত্যুবরণ করতে দেখা গেছে। হয়তো আই সি ইউ শয্যা পেলে মানুষটি করোনার সঙ্গে আরও কিছু সময় যুদ্ধ করতে পারত।

এমন ঘটনায় স্পষ্ট বুঝা যায় যে চিকিৎসা সেবার মত মৌলিক অধিকারের বিষয়টিও কখনো কখনো সমান ভাবে পায়নি পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো। এদিক থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল ক্যাপিটালের ইতিবাচক দিকের চেয়ে নেতিবাচক দিকের পাল্লা ভারী। ‌